14 October, 2024
পাদ কয় প্রকার; পাদ কাকে বলে; ঠাস পাদ; ফুস পাদ; পাদের গন্ধ দূর করার উপায়; অতিরিক্ত গ্যাস হলে কি করনীয়; পাদের গন্ধ কেমন

আপনি কি জানেন পাদ কয় প্রকার ?🤫

পাদে পাদন্তি
পাদে শান্তি
পাদ নাই যার
পোড়া কপাল তার।

পাদ কয় প্রকার

Q: পাদ কাকে বলে?

Ans: পাকস্থলীতে লুকিয়ে থাকা দুষ্ট বায়ু যে বিশেষ প্রক্রিয়ায় পায়ুপথ হতে নির্গত হয়, তাকে পাদ[অপান] বলে। পাদ হচ্ছে, মানবজাতির জন্য অতিব জরুরী একটি পন্থা।

Q: পাদ কয় প্রকার ?

Ans: বিশেষজ্ঞদের মতে পাদ সাধারণ দুই প্রকার। যথাঃ ঠাস পাদ ও ফুস পাদ।

1. ঠাস পাদ:🤪

যে পাদ মানুষের আবেগ নিয়ে খেলা করে, সেটাই হচ্ছে ঠাস পাদ। এসব পাদগুলো সাধারণত হরেক রকমের মন মাতানো সুরের সাথে নিজেদের আগমন ঘটায়। শব্দ দূষণের অভিযোগ পাওয়া গেলেও এই পাদ বেশিরভাগ সময়ই মানুষকে বিনোদিত করে।

পাদ কয় প্রকার

2. ফুস পাদ:🤫

যে পাদ নিজেকে মুক্ত করার জন্য পায়ু পথের কাছাকাছি এসে আকুপাকু করে তাকে ফুস পাদ বলে। এসব পাদের কোনো অস্তিত্ব নেই। ঘ্রাণ শুকে এদের অস্তিত্ব অনুভব করা যায়। এধরনের পাদগুলো সাধারণত পরিবেশ দুষণ করে থাকে। মানব জীবনে পাদের গুরুত্ব অপরিসীম। পাদ দিতে না পারলে মানুষের পেটে মিথেন গ্যাস জমে যেতো। আর তখন মানুষ মাধ্যাকর্ষণ শক্তিতে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে মহাশুন্যে উড়ে যেতো।

পাদ কয় প্রকার

পাদের গন্ধ দূর করার উপায়:

পাদ কয় প্রকার; পাদ কাকে বলে; ঠাস পাদ; ফুস পাদ; পাদের গন্ধ দূর করার উপায়; অতিরিক্ত গ্যাস হলে কি করনীয়; পাদের গন্ধ কেমন
  • দুধ খাবেন না: যাদের গন্ধযুক্ত গ্যাস সৃষ্টি হয় তারা কয়েকদিন দুধ বা দুধের তৈরি খাবার গ্রহণ করবেন না। যদি এতে কাজ হয় তবে ধরে নিবেন এজীবনে আর দুধ আপনার পেটে ঢুকানো ঠিক নয়।
  • গ্যাস সৃষ্টিকারী খাবার কম খাবেন: শিম,ব্রকলি,বরবটি,ফুলকপি,গাজর,মূলা,কচুর লতি,ডাল বেশি না খেয়ে কম করে খাবেন। এই খাবারগুলো পাদের গন্ধের জন্য দায়ী।
  • অল্প কার্বোহাইড্রেটযুক্ত খাবার কম খান: অল্প কার্বোহাইড্রেট থাকে এমন খাবার যেমন- ম্যানিটল,সরবিটল,জেরুজালেম আর্টিকোজ,মিষ্টি আলু, মল্টোজ, ল্যাক্টোজ কম খেতে হবে।
  • পেয়াজ ও রসুন কম ব্যবহার করুন: তরকারিতে বা কাঁচা অবস্থায় পেয়াজ ও রসুন কম খাবেন কারণ এগুলো উচ্চ সালফার জাতীয় খাবার। এগুলো পাদের গন্ধের জন্য দায়ী গ্যাস সালফার ডাই অক্সাইড বেশি উৎপন্ন করে।
  • রাতে শাকসব্জি কম খাবেন: রাতের খাবারে ডাল,কাঁচা ফল, শাকসব্জি কম খেতে হবে। এগুলো রাতে বৃহদান্ত্রে প্রচুর গ্যাস সৃষ্টি করে।
  • ফাস্টফুড পরিহার করুন: রাস্তারধারে বিক্রি হওয়া তেলে ভাজা বেগুনী, পেয়াজু,রোল,বড়া,পিঠা ইত্যাদি খাবার খাবেন না। বড় রেস্তোরাঁর ফাস্টফুড না খাওয়াই ভালো।
  • মাংস কম খেতে হবে: এটা প্রমাণিত যে মাংস ভক্ষণকারী ব্যক্তির চাইতে ভেজিটেরিয়ান ব্যক্তির পাদের গন্ধ সব সময় কম থাকে। তাই মাংস কম খেয়ে খাবারে সব্জির পরিমাণ ঠিক রাখুন।
  • চা ও কফি কম পান করুন: বেশি পরিমাণ চা ও কফি পান করলে হজমে সমস্যা হয় তাই গন্ধযুক্ত বায়ুত্যাগ হয়। দিনে দুই কাপের বেশি চা বা কফি না খাওয়াই ভালো।
  • ডিম কম খাওয়াই ভালো: প্রতিদিন একটির বেশি ডিম খেলে পেটে সালফার ডাই অক্সাইড গ্যাস সৃষ্টি হবে বেশি। এই গ্যাস পাদের গন্ধের জন্য দায়ী প্রধান উপাদান।
  • বাদাম কম খেতে হবে: বাদাম বেশি খেলে পাদের গন্ধ হয়। বিশেষ করে চিনা বাদাম বেশি খেলে গন্ধযুক্ত বায়ু সৃষ্টি হয়। তাই বাদাম কম খেতে হবে।
  • বিয়ার পান করবেন না: যাদের দুর্গন্ধযুক্ত বায়ুত্যাগ হয় তারা কম পরিমানে বিয়ার খাবেন অথবা কিছুদিন খাওয়া বন্ধ রাখবেন। বিয়ার বৃহদান্ত্রের ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা বৃদ্ধি করে।
  • রাতে পর্যাপ্ত ঘুমাতে হবে: ঘুম কম হলে হজমে ব্যাঘাত ঘটে আর হজমে সমস্যা হলে পেটে প্রচুর গন্ধযুক্ত গ্যাস সৃষ্টি হয়। রাতে পর্যাপ্ত ঘুমান।
  • বদ হজম ও এসিডিটির চিকিৎসা করুন: বদ হজম ও এসিডিটির কারণে পেটে খাবার পুরোপুরি হজম হয় না এতে করে পাদের গন্ধ হয়।
  • পরিমিত পানি পান করুন: খাদ্য গ্রহণের সাথে সাথে বেশি পানি পান করবেন না,এতে হজমে ব্যাঘাত ঘটবে। খাদ্য গ্রহণের ৩০ মিনিট পর থেকে পরবর্তি খাদ্য গ্রহণের মধ্যবর্তি সময়ে অল্প অল্প করে বারবার পানি পান করুন।
  • বড় ফাইবারযুক্ত খাবার গ্রহণ করুন: সকাল ও দুপুরের খাবারে সবুজ শাক রাখুন। শাকের ফাইবার দেহ থেকে দ্রুত মল নিষ্কাশন করে। এতে পেটে অতিরিক্ত গ্যাস সৃষ্টি হয় না। তাই পাদের গন্ধ হয় না।
  • কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করুন: পাদের গন্ধের জন্য বড় ভূমিকা রাখে কোষ্ঠকাঠিন্য। কোষ্ঠকাঠিন্য হলে বৃহদান্ত্রে দীর্ঘক্ষণ মল জমা থাকে ফলে গন্ধযুক্ত গ্যাস সৃষ্টি হয়। তাই কোষ্ঠকাঠিন্য হলে তার চিকিৎসা করুন।
  • পেটে কম বাতাস ঢুকতে দিন: ধুমপান,স্ট্র দিয়ে পানীয় পান,খাবার খাওয়ার সময় কথা বলা,চুইং গাম চিবানো ইত্যাদি কাজের সময় পেটে প্রচুর বাতাস প্রবেশ করে। পেটে বাতাস প্রবেশ করলে পাদ বেশি হয়।
  • ব্যায়াম করুন: প্রতিদিন ব্যায়াম করলে পরিপাকতন্ত্রের নড়াচড়া ঠিক থাকে ফলে হজম ভালো হয়। হজম ভালো হলে বায়ুত্যাগের গন্ধ কম হয়।

পাদ কয় প্রকার


One thought on “আপনি কি জানেন পাদ কয় প্রকার ?🤫

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *